
নড়াগাতীতে পুজামণ্ডপ পরিদর্শন ও উন্নয়ন অঙ্গীকার: শান্তি ও ঐক্যের বার্তা
বিশেষ প্রতিনিধি: চৌধুরী জুয়েল রানা
নড়াইল জেলার নড়াগাতী থানার ডুটকুরা সর্বজনীন দুর্গা মন্দিরে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পুজামণ্ডপ পরিদর্শন অনুষ্ঠানে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং এলাকায় উন্নয়ন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নড়াগাতী থানা বিএনপির সহ-সভাপতি লস্কর ফিরোজ আহমেদ, নড়াগাতী থানার শ্রমিকদলের সভাপতি ইলিয়াস শেখ এবং ভার্চুয়ালি যুক্ত হন অধ্যাপক বিএম নাগিব হোসেন। তারা বিভিন্ন ইউনিয়নের পুজামণ্ডপ পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
লস্কর ফিরোজ আহমেদ বলেন, “পুজা আমাদের ঐতিহ্য ও সম্প্রদায়ের ঐক্যের প্রতীক। আমরা সর্বদা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকব এবং তাদের পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সফল করতে সহযোগিতা প্রদান করব। এছাড়া আমরা এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অধ্যাপক বিএম নাগিব হোসেন বলেন, “আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি যখন ধর্ম ও সংস্কৃতির সংরক্ষণ, সমাজের শান্তি ও উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। সনাতন সম্প্রদায়ের পাশে থাকা শুধু একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার একটি অঙ্গীকার।” তিনি আরও বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে নড়াইল জেলার জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণে কাজ করে আসছি। নড়াইল-১ আসনের মানুষের আশা ও আস্থা আমার প্রতি রয়েছে। এজন্য আমি আগামী নির্বাচনে নড়াইল-১ আসনের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি প্রতিজ্ঞা করছি—যদি জনগণ আমাকে সুযোগ দেন, আমি তাদের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাব। সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল ও কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি যুবসমাজের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই হবে আমার প্রধান অগ্রাধিকার। আমি চাই নড়াইল একটি শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হয়ে উঠুক।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা চাই ধর্মীয় উৎসব যেন শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। এর জন্য সমাজের সকল অংশের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি সব সম্প্রদায়ের মানুষকে একত্রিত করে নড়াইলের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সকলকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও অরাজকতার বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করতে হবে।”
নড়াগাতী শ্রমিকদলের সভাপতি ইলিয়াস শেখ বলেন, “পুজা হলো ঐক্যের উৎসব। শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে আমাদের সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা চাই প্রতিটি ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত হোক। আমরা একসাথে নড়াগাতীকে সুন্দর ও উন্নত করতে কাজ করব।”
স্থানীয়রা নেতৃবৃন্দের বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেন যে, তাদের অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হলে নড়াগাতী এলাকার জন্য উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি হবে।