মোহনগঞ্জে আদালত চত্বরে যুব মহিলা লীগ নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা
স ম জিয়াউর রহমান :
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আদালত চত্বরেই পৌরসভা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শারিফা আক্তারকে (৩৫) প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবার ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে দায়ের করা একটি 'মিথ্যা' মামলায় হাজিরা দিতে এসে তিনি এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
আজ সোমবার দুপুরে এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শারিফা আক্তার মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য আদালত প্রাঙ্গণে আসেন। এ সময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তার ওপর ধারালো ছুরি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়।
আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় শারিফাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় রাজনৈতিক সহকর্মীদের দাবি, রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যেই শারিফা আক্তারের বিরুদ্ধে একটি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ সেই মামলাতেই হাজিরা দিতে এসেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মামলার প্রতিপক্ষ বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাসীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
প্রকাশ্য দিবালোকে আদালত চত্বরের মতো একটি সুরক্ষিত স্থানে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এবং জনমনে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও গুরুতর প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। হত্যাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।"
এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন।