জনগণের সরকারের জবাবদিহিতা :
জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ১৯৭৭ সালের অক্টোবর মাসে কোনো একটা ঘটনাচক্রে ১৪-১৫ জন মারা যায়।এরপর নিহতদের পরিবার গুলো স্বাভাবিকভাবেই দুঃখ বিষাদে নিমজ্জিত হয়।
ঐদিন রাতেই বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটা নাচ দেখানো হয়,যা "আজি ভালো করিয়া বাজাও গো দোতারা,সুন্দরী কমলা নাচে"এই গানের সূরে পরিবেশন করা হয়।
জিয়াউর রহমান এটা দেখে খুবই ক্ষুব্ধ হোন এবং সাথে সাথে তৎকালীন তথ্য উপদেষ্টা আকবর কবিরকে ডেকে বলেন,
"আজ বাংলাদেশের জন্য একটা Day of tragedy.
আপনি একজন তথ্য উপদেষ্টা।আপনার নূন্যতম বিবেকবোধও নাই।আপনি শোকাবহ একটা দিনের গুরুত্বটুকু বুঝতে পারলেন না"।
অতঃপর তৎকালীন তথ্য উপদেষ্টা আকবর কবিরকে জিয়াউর রহমানের সরকার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।তার বদলে জনাব সামছুল হুদা চৌধুরীকে তথ্য উপদেষ্টা করা হয়।যিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের স্পিকারও হয়েছেন।
#
বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে একবার ঢাকা রামপুরায় ২০ মাসের শিশু নওশিন তার বাবার কোলে ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হয়।এই ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে বাংলাদেশে ব্যাপক আলোড়নও সৃষ্টি হয়।
এরপরের দিন সে-ই নওশিনের শোকাহত পরিবারকে সান্ত্বনা নিয়ে দিতে গিয়ে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন,"আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে"।
পরবর্তীতে কিছুদিন পর সে-ই আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয় থেকে সরিয়ে দেন বেগম খালেদা জিয়া।
জিয়াউর রহমানের শাসনামল থেকে বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামল এভাবেই জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা কিংবা জনগণের প্রতিবাদের প্রতি সন্মান দেখিয়েছে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তি তথা বিএনপি।
ক্ষুদ্র একটা অভিযোগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের মতো নেতাকে সরকার থেকে সরিয়ে দেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।
শেখ হাসিনার আমলে এতো ব্যর্থতার পরও ঐ সরকারের একজন মন্ত্রীকে সরানোর মুরোদ দেখাতে পারে নাই তৎকালীন দিন বদলের সরকার আওয়ামী লীগ।
বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে এতো এতো অভিযোগ আসার পরও একজন উপদেষ্টাকেও সরানোর মুরোদ হয় নাই বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ডক্টর ইউনূসের।
আওয়ামী লীগ স্বৈরশাসক তা-ই তাদের কাছে এগুলো স্বাভাবিক কিন্তু দেশের সবগুলো রাজনৈতিক দলের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় বসার পরও কেনো ডক্টর ইউনূস তার সরকারের বিতর্কিত উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না!
এই সরকারের উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক জায়গা থেকে বারবার অভিযোগ আসার পরও এই ইউনূস তাদের বিরুদ্ধে নূন্যতম একশানে যাওয়ার সাহস দেখাতে পারে নাই।
আর সে-ই ইউনূস সরকারের ভাড়া খাটা দালালেরা আবার বিএনপির বিষেদাগার করে,বিভিন্ন টকশো টেবিলে গিয়ে বিএনপির চরিত্রহননের চেষ্টা করে এরা এতোটাই নিলজ্জ।
অবশ্য এই ভাড়ায় খাটা দালালেরা যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে সে-ই সরকারেরই দালালি করে,গত ৫০ বছরে এমন উদাহরণ বারবার দেখেছি আমরা।
জিয়াউর রহমানের আদর্শে বেগম খালেদা জিয়ার লিগ্যাসিতেই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শক্তি অবিচল।এদেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের শাসনামল দেখেছে,বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামল দেখেছে,এখন তারেক রহমানের শাসনামল দেখার জন্য অপেক্ষায় আছে।
অচীরেই তারেক রহমান আরো একবার প্রমাণ করবেন তিনি শহীদ জিয়াউর রহমানের ডুপ্লিকেট এবং বেগম খালেদা জিয়ার যোগ্য উত্তরসূরী ।