
নওগাঁয় সন্ত্রাসী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে সৈনিক সংস্থা ও এলাকা বাসীর মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওগাঁঃখোরশেদ আলম
গত শুক্রবার বৈকাল ৪,৩০ মিঃহতে সন্ধা ৭ টা পর্যন্ত নওগাঁ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড মকরপুর চারমাথা বাজারে, মোঃসিরাজুল ইসলাম মাষ্টারের সভাপতিত্বে সন্ত্রাস বিরুধী ও মাদক সেবীদের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মোঃসিরাজুল ইসলাম মাষ্টার, উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সৈনিক সংস্থা নওগাঁ জেলা শাখার সদস্য সচিব, মোঃখোরশেদ আলম, স্হানীয় সৈনিক সংগঠনের সভাপতি, সার্জেন্টঃআঃরাজ্জাক,সাঃসম্পাদক সিনিয়র ওয়াঃঅফিঃ মোঃবেলাল হোসেন, মোঃআঃছালাম,মোঃআলামিন,মোঃআল-মামুন হিরা,মোঃফারহিন ইসলাম হিরা প্রমূখ।
বিবাদীঃ ১!মোঃশিহাব(৩০)২!মোঃনিহাল (২৩)উভয়ের পিতাঃমোঃবেলাল হোসেন, সাং চকপ্রসাদ, নওগাঁ সদর নওগাঁ, ৩!মোঃরবিন (৩০)পিতা,মোঃবেলাল হোসেন চকপ্রসাদ নওগাঁ, ৪!মোঃমিনহাজ(৩২)পিতাঃআলফাজ হোসেন, সাং বাউল্লা থানা আত্রাই নওগাঁ। অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জন ছিল তাদের পরিচয় জানা যায়নি। এরা সবাই নিশাগ্রস্ত ও কিশোর গাংএর সদস্য। ঘটনার সুত্রপাত কিছু দিন পূর্বে টাকা আদায়ের লক্ষ্যে,একটা ছেলেকে বাড়িতে এনে তিনদিন বেঁধে রেখে অনেক নির্যাতন করে এবং টাকা নেওয়ার পরে তাদের ছেঁড়ে দেয়।তাদের প্রতিবেশি হিসেবে সেনা সদস্য মোঃনুরুল ইসলামের পিতা,মোঃআঃরশিদ ও স্ত্রী সহ তার পরিবারের সবাই বাঁধা দেয়।প্রতিবেশি হিসেবে বিভিন্ন ধরনের হরহামেশাই বিবাদী , শিহাব / নিহালদের সাথে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ঘটনার দিন কোন পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় এই সুযোগে বিবাদী গন দলবল সহ বাদীর বাসায়, দেশীয় অস্ত্র সহ হামলা করে এবং স্বর্ণ অলঙ্কার বিভিন্ন মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাসার মহিলারা বাঁধা সৃষ্টি করলে তাদের হাতে থাকা, হাঁসুয়া,লোহার রড সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করে এবং বাদীর প্রায় ৭,৩০,০০০ সাত লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে এলাকা বাসী জানতে পেরে,প্রায় মৃত্যু অবস্হায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নওগাঁ ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।এলাকা বাসী ও বাংলাদেশ প্রাক্তন সৈনিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ গত কাল শুক্রবার মানববন্ধনে বক্তব্যে বলেন নওগাঁ ১১ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজারের বেশি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য আছে, বিবাদীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যাবস্হা না করলে, প্রয়জনে ১১ উপজেলা সহ বাংলাদেশের সকল জেলার মানববন্ধন সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় বিবাদী গন এলাকায় সবসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করে। তাদের ভয়ে কেহ সহজে মূখ খুলতে চায় না।
এই বিষয়ে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃনূরে আলম সিদ্দিকী কে ফোন করলে, ওসি,অপারেশন মোঃখোরশেদ আলম বলেন তিনি ছুটিতে আছেন। বিষয়টি আমরা জানি এবং প্রয়জনীয় ব্যাবস্হা গ্রহনের জন্য পুলিশ তৎপর আছে। আমরা দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।