
বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
জসিম :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য বালিমহল দখল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলসহ নানান অত্যাচারে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী। অনুসন্ধানে দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে এবং ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে বেরিয়ে আসে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের অপকর্মের ফিরিস্তি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলাবাসী সারা দেশের মতো আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে,কিন্তু দীঘিনালা উপজেলাবাসীর সেই আনন্দ বিলীন হয়ে যায় ২০২৪ সালের ৫ ই আগস্টের পর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম নামক এক ভয়ঙ্কর দানবের আবির্ভাবের কারণে। এখানে উল্লেখ থাকে যে ৫ ই আগস্ট-০২৪ইং তারিখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার’র পতনের পর জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারংবার সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মীদের কঠোর বার্তার মাধ্যমে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য দখলবাজি টেন্ডার বাণিজ্য মানুষের বাড়িঘর লুণ্ঠন ও নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজ করা যাবে না, যদি কেউ এমন কাজ করে থাকে তার সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখের পরে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম তার সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে ধরে এনে নিজ উপস্থিতিতে নির্যাতনের মাধ্যমে দুই লক্ষ টাকার মুক্তিপণ আদায় করেন বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ীদের থেকে ট্রাক প্রতি এক লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হয় মোঃ শফিকুল ইসলামকে। কাঠ ব্যবসায়ী রতন এর কাঠ বোঝাই ট্রাক আটক করে এক লক্ষ টাকা চাঁদা নেন, উল্লেখ্য প্রতিদিন দীঘিনালা উপজেলা হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঠ ব্যবসায়ীদের দৈনিক ২০/২৫ টি কাঠ বোঝাই ট্রাক দীঘিনালা উপজেলার উপর দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়, আর সেই সকল মাল বোঝাই ট্রাক প্রতি এক লক্ষ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন করেন মোঃ শফিকুল ইসলাম নামক ভয়ংকর দানব, এছাড়াও বিগত এক বছরে কাঠ বোঝাই ট্রাক গায়েব করে দেন শফিকুল ইসলাম । আনুমানিক প্রতিটি ট্রাকে নয় লক্ষ থেকে দশ লক্ষ টাকার কাঠ বোঝাই ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানান।দীঘিনালা উপজেলা কাঠ ব্যবসায়ীরা আরো জানান মামলার ভয় এবং মব সন্ত্রাসের ভয়ে কেউ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পায় না।এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায় শফিকুল ইসলাম দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদ ব্যবহার করে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৫ ই আগস্টের পর মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে দীঘিনালা উপজেলার নিরীহ মানুষদের থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। ৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখের পর থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত শফিকুল ইসলামের চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্য দখল বাণিজ্য কাঠ ব্যবসায়ীদের কাঠ বোঝাই ট্রাক প্রতি ১ লক্ষ টাকা চাঁদা সহ সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে মুক্তিপন আদায়ের কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাবমূর্তি একদিকে যেমন ক্ষুন্ন হচ্ছে অপরদিকে সাধারণ নাগরিকদের মাঝে বিএনপি’র প্রতি বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে দীঘিনালা উপজেলা বাসী জানান। দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলামকে কিছুদিন পূর্বে চাঁদাবাজি দখল বাণিজ্য মুক্তিপন আদায় মামলা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সেনাবাহিনী আটক করে সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যায়,পরবর্তীতে মোছলেখা দিয়ে আসেন বলে এলাকাবাসী জানান। মোঃ শফিকুল ইসলামের মামলা বাণিজ্য দখল বাণিজ্য ব্যবসায়ীদের থেকে মুক্তিপণ আদায় সহ নানান অপকর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির পদধারী এক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান শফিকুল ইসলামের এই সকল অপকর্মের কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি দীঘিনালা উপজেলা শাখা বিব্রত,তিনি আরো বলেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করে সারা দেশে যেই সকল নেতাকর্মী বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম জুলুমবাজি চাঁদাবাজি মামলা বাণিজ্যে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং অনেকেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন, কারণ আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বারংবার বলেছেন কোন ব্যক্তির অন্যায় অপকর্মের দায় দল নিবে না এবং শফিকুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে বিগত এক বছরের সীমাহীন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমাদের নেতা ওয়াদুদ ভূঁইয়া ভাই কে অবগত করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলাম দীঘিনালা উপজেলা এক মূর্তিমান আতঙ্কের নাম, নিরীহ মানুষদের মামলার ভয় দেখিয়ে এক লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে বর্তমানে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক বনে গেছেন এমনকি আগামীতে তিনি মেরুং ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন করবেন বলে জানান, শফিকুল ইসলামের রয়েছে সশস্ত্র একটি সন্ত্রাসী বাহিনী,ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাজ হচ্ছে শফিকুল ইসলামের নির্দেশ মোতাবেক দীঘিনালা উপজেলার নিরীহ মানুষদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসতবাড়িতে হামলা করে মুক্তিপন আদায় করা। দীঘিনালা উপজেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে শফিকুল ইসলামের বিগত এক বছরের কর্মকাণ্ড জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক তাই তারা এই বিতর্কিত দীঘিনালা উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি এর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দলীয় নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহবান জানান। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের থেকে আর চাঁদাবাজি মুক্তিপণাদায় দখল বাণিজ্য মামলা বাণিজ্য বালুমহল দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জয়নাল মোঃ শফিকুল ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীরা এই প্রতিবেদককে জানান মোঃ শফিকুল ইসলামের চাঁদাবাজি দখল বাণিজ্য অনিয়ম দুর্নীতি মুক্তিপণ আদায় মামলা বাণিজ্য সহ এই সকল বিষয়ে আমরা সংবাদ প্রকাশিত করতে পারছি না। তার একটাই কারণ মব সন্ত্রাস’র ভয়, কিন্তু আপনারা ঢাকা থেকে আসছেন দীর্ঘ অনুসন্ধান করেছেন ভুক্তভোগীদের বক্তব্য নিয়েছেন আপনারা লিখতে পারেন।দীঘিনালা উপজেলার স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা এই প্রতিবেদককে আরো জানান শফিকুল ইসলামের বিষয়ে সকল অভিযোগ এবং ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শতভাগ সত্যি। ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি আক্ষেপের সুরে বলেন শফিকুল ইসলামের মতো নেতাদের কারণে দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির ভোট দিন দিন কমতেছে এবং খাগড়াছড়ি জেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ওয়াদুদ ভুঁইয়ার ভাবমূর্তি দিন দিন তলানিতে পৌঁছাচ্ছে। আগামীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এখনই যদি শফিকুল ইসলামের মত দল বিক্রি করা বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ উপেক্ষা করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে আসছে জাতীয় নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তিনি।