আপনি কি জানেন বর্তমান যুব সমাজের সবচেয়ে বেশি প*র্নো*গ্রাফিতে কিভাবে আসক্ত হচ্ছে?
চলুন একটু গভীরে যাওয়া যাক যেটা আপনার চিন্তাভাবনা কেউ হার মানাবে!
সব ধ্বং"স কোনোদিন একসাথে নেমে আসে না।
কখনো কখনো ধ্বংস ঢোকে বন্ধুদের হাসির আড়ালে—একটি ভিডিওর লিং"ক হয়ে।
যা প্রথমে হাসায়, পরে সারাজীবন কাঁদায়।
আজকের তরুণ প্রজন্মের প*র্নো*গ্রাফি আসক্তির সবচেয়ে বড় প্রবেশদ্বার হলো—বন্ধু।
বন্ধুর দেখানো প্রথম ভিডিওটিই অনেকের জীবনকে দুই ভাগে ভাগ করে দেয়—
একটা আগের জীবন, আরেকটা পরের জীবন।
প্রথমে কৌতূহল কাজ করে।
বন্ধুরা বলে—
“আরেহ দেখ, কিছু হবে না”
“সবাই দেখে, তুই দেখিস না!”
“এইটা না দেখলে কিছুই বুঝবি না!”
আর এই কথাগুলোর চাপেই একদিন একজন যুবক নিজের ভেতর প্রথম ফাটলটা তৈরি হতে দেয়।
সে ভেবে নেয় এটা সামান্য বিনোদন।
একটু উত্তেজনা।
একটু দুষ্টুমি।
কিন্তু মানুষ বোঝে না…
বিনোদনের নামে যে বি*ষ ঢুকছে,
তা ধীরে ধীরে গ্রাস করবে পুরো মানসিকতা।
প্রথম দিকে মনে হয়—
কিছুই হয়নি।
কিন্তু ভিতরের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে।
তারপর একসময়—
রাতে ফোনে,
চুপিসারে দরজা বন্ধ করে,
অন্ধকার ঘরে…
মোবাইল স্ক্রিনে এক ভিন্ন জগৎ খুলে যায়।
আর ঠিক তখন থেকেই
সে বাস্তব আর অবাস্তব—এই দুটি দুনিয়াকে মিশিয়ে ফেলতে থাকে।
সময় যেতে যেতে তার ভেতর বদলে যায়—
🔹 অনুভূতি
🔹 আগ্রহ
🔹 চিন্তাধারা
🔹 সম্পর্কের প্রতি বিশ্বাস
🔹 ভবিষ্যতের দৃষ্টি
যে তরুণ একসময় স্বপ্ন নিয়ে বাঁচত,
মাঝে মাঝে পর্নের অন্ধকার তাকে গিলে খেতে শুরু করে…
📌 মনোযোগ ভেঙে যায়
📌 মস্তিষ্ক আর স্বাভাবিক আনন্দ পায় না
📌 পড়াশোনা বা কাজ পিছিয়ে যায়
📌 মানসিক ক্লান্তি বাড়ে
📌 বাস্তব মানুষের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়
এমনকি—
বাস্তব সম্পর্ক তার কাছে নষ্ট হয়ে যায় অলীক কল্পনার কারণে।
সবচেয়ে যেটা ভয়ঙ্কর তা হলো—
এটার আসক্তি চোখে দেখা যায় না,
শরীরে ধরা পড়ে না,
কিন্তু ভিতরটা পুড়িয়ে ফেলে নিঃশব্দে।
মা-বাবা টের পায় না,
শিক্ষক বোঝে না,
কেউ জানতে পারে না…
কিন্তু ভেতরে ভেতরে একজন মানুষ ধীরে ধীরে ডুবে যেতে থাকে একা একা।
আর সে কেবল ভাবতে থাকে—
“ইশ! সেদিন যদি সেই ভিডিওটা না দেখতাম…”
বন্ধুত্বের নামেও আজকাল পাপ ঢুকে গেছে।
মানসিক ধ্বং"স ঢুকে গেছে।
লজ্জার শিকড় ঢুকে গেছে।
এক বন্ধু কাউকে তুলে ধরতেও পারে,
আবার ধ্বং"স করে দিতেও পারে—
নিরব, অদৃশ্য, গভীরভাবে।
এই সত্যটা যতটা কঠিন,
তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হলো—
এর শুরুটা খুব সহজ,
কিন্তু শেষটা খুবই কষ্টের।
একটু খেয়াল করে দেখো আজকের এই আসক্তি তোমার বন্ধুদের কারণেই হয়েছে, তুমি একা এই জগতে আসনি,,, নাটক ছবি দেখেও আসতে পারোনি,,, একমাত্র বন্ধুবান্ধব তোমাকে এখানে এনেছে!
মনে রাখো—
প*র্নো*গ্রাফি কখনো শুধু এক ভিডিও নয়,
এটা মস্তিষ্কের বন্দিত্বের শুরু।
আর সেই বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেতে
এক জীবনের লড়াইও যথেষ্ট হয় না।
তাই সেসব বন্ধুদের থেকে সরে আসো,,,, তোমাকে যারা এই অন্ধকার পথে ঠেলে দিয়েছে!
“মনে রেখো—
একজন ভালো বন্ধু পারে তোমাকে জীবনের সঠিক পথে তুলে ধরতে,
আর একজন খারাপ বন্ধু পারে হাসতে হাসতেই তোমাকে গভীর অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে।”
Nayem