
আশা পারেখ ও সায়রা বানু: ষাটের দশকের দুই প্রাণবন্ত নায়িকা
বলিউডের পঞ্চাশের শেষভাগ এবং ষাটের দশকের চলচ্চিত্রকে যাঁরা তাঁদের সৌন্দর্য, নৃত্যশৈলী ও অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বর্ণময় করে তুলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আশা পারেখ এবং সায়রা বানু অন্যতম। দু’জনেই ছিলেন সেই সময়ের গ্ল্যামার এবং রোমান্টিকতার প্রতিচ্ছবি।
আশা পারেখ তাঁর সময়ের সবচেয়ে সফল এবং নির্ভরযোগ্য অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, যাঁকে ‘হিট গার্ল’ নামে ডাকা হতো। তাঁর মূল শক্তি ছিল তাঁর অসাধারণ নৃত্যশৈলী, প্রাণবন্ত অভিনয় এবং পর্দায় তাঁর গতিশীল উপস্থিতি। তিনি কেবল রোমান্টিক ছবিতেই নয়, ‘তিসরি মঞ্জিল’-এর মতো সাসপেন্স থ্রিলার এবং ‘দো বদন’-এর মতো গুরুতর চরিত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তা এসেছিল তাঁর বহুমুখী দক্ষতা, স্টাইলিশ উপস্থিতি এবং একটানা ব্লকবাস্টার ছবি উপহার দেওয়ার সক্ষমতা থেকে। তাঁর এনার্জি ছিল ষাটের দশকের চলচ্চিত্রের এক অপরিহার্য অংশ।
অন্যদিকে, সায়রা বানু তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন ‘জঙ্গলী’ (Junglee)-র মতো হিট ছবির মাধ্যমে এবং দ্রুতই তাঁর অসাধারণ সৌন্দর্য ও কমনীয়তার জন্য পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ছিল মার্জিত এবং তিনি সহজেই রোমান্টিক এবং হালকা কমেডির চরিত্রগুলো ফুটিয়ে তুলতে পারতেন। ‘পড়োশন’-এর মতো ছবিতে তাঁর কমেডি টাইমিং এবং ‘শাগির্দ’-এর মতো ছবিতে তাঁর গ্ল্যামারাস উপস্থিতি তাঁকে দর্শকদের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। সায়রা বানুর আবেদন ছিল তাঁর ক্লাসিক বলিউড হিরোইনের গ্ল্যামার, গ্রেস এবং পরিশীলিত ভাবমূর্তিকে ঘিরে। তাঁর অভিনয় তাঁর আভিজাত্যপূর্ণ উপস্থিতিকে আরও বাড়িয়ে দিত।
তুলনা করলে দেখা যায়, আশা পারেখ যেখানে শক্তিশালী গতিশীলতা ও বহুমুখী বাণিজ্যিক সাফল্যের প্রতীক, সায়রা বানু সেখানে মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য ও মার্জিত কমনীয়তার প্রতিচ্ছবি। দু’জনেই তাঁদের স্বতন্ত্র ক্যারিশমার মাধ্যমে বলিউডের এই স্বর্ণযুগে এক অবিস্মরণীয় অবদান রেখে গেছেন। janas media