
নীলম কোঠারি ও সুস্মিতা সেন: গ্ল্যামার ও কমনীয়তার দুই তারকা
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নীলম কোঠারি এবং সুস্মিতা সেন দু’জনেই তাঁদের স্বতন্ত্র গ্ল্যামার ও অভিনয় দক্ষতার কারণে দর্শক মহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। যদিও তাঁদের জনপ্রিয়তা লাভের সময়কাল এবং স্টাইল ছিল ভিন্ন, তবুও দু’জনেই হিন্দি সিনেমার পর্দাকে উজ্জ্বল করেছেন।
নীলম কোঠারি তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন আশির দশকের শেষের দিকে এবং তিনি পরিচিত ছিলেন তাঁর **প্রাণবন্ত, মিষ্টি হাসি এবং ‘বাউন্সি গার্ল’** ইমেজের জন্য। গোবিন্দার মতো অভিনেতাদের সঙ্গে তাঁর জুটি ছিল খুবই হিট। তাঁর অভিনয় দক্ষতা ছিল মূলত **সহজাত এবং সাবলীল**, যা তিনি রোমান্টিক এবং হালকা কমেডি ঘরানার ছবিতে ফুটিয়ে তুলতেন। নীলমের **জনপ্রিয়তা** ছিল সেই সময়ের মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য আদর্শ। তাঁর মিষ্টি চেহারা এবং পর্দায় তাঁর ইতিবাচক উপস্থিতি দর্শকদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করত। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল ও জনপ্রিয় মুখ।
অন্যদিকে, সুস্মিতা সেন ১৯৯৪ সালে **বিশ্বসুন্দরী** হওয়ার পর বলিউডে প্রবেশ করেন, যা তাঁকে এনে দেয় এক বিশাল **আন্তর্জাতিক পরিচিতি**। তাঁর পরিচিতি ছিল **দীর্ঘাঙ্গী, বুদ্ধিদীপ্ত এবং অত্যন্ত মার্জিত** অভিনেত্রী হিসেবে। সুস্মিতা সেন কেবল গ্ল্যামারাস চরিত্রেই নয়, **’মেয় হুঁ না’** বা ওয়েব সিরিজ **’আরিয়া’**-এর মতো কাজে তিনি শক্তিশালী, ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং জটিল নারীদের চরিত্রেও নিজের অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছেন। তাঁর **জনপ্রিয়তা** তাঁর সৌন্দর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং পর্দায় তাঁর **কমান্ডিং উপস্থিতির** কারণে তৈরি। তিনি নারীত্বের এক নতুন, আত্মবিশ্বাসী দিক তুলে ধরেছেন।
তুলনা করলে দেখা যায়, নীলম কোঠারি যেখানে **নব্বইয়ের দশকের সরল ও প্রাণবন্ত বাণিজ্যিক গ্ল্যামারের** প্রতীক, সুস্মিতা সেন সেখানে **আধুনিক, মার্জিত এবং ক্ষমতায়িত নারীর** প্রতিচ্ছবি। দু’জনেই তাঁদের নিজস্ব পথ ও ক্যারিশমা দিয়ে বলিউডের সৌন্দর্য ও অভিনয়কে সংজ্ঞায়িত করেছেন এই দুই অভিনেত্রীর কোনো বিশেষ চরিত্র বা ফ্যাশন সেন্স নিয়ে আলোচনা করতে চান? Janas media