
প্রীতম হাসান ও বালাম: দুই প্রজন্মের গানের ধারা
বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে প্রীতম হাসান এবং বালাম দু’জনেই তাঁদের স্বতন্ত্র কণ্ঠের সুর এবং সঙ্গীতের জাদুর মাধ্যমে শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন। যদিও তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছেন, তাঁদের অবদান বাংলাদেশের আধুনিক সঙ্গীতকে করেছে সমৃদ্ধ।
বালাম, যিনি মূলত ২০০০-এর দশকের জনপ্রিয় পপ-রক সঙ্গীতের এক শক্তিশালী কণ্ঠ। ‘ওয়ারফেজ’-এর মতো ব্যান্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা এবং পরবর্তীতে তাঁর একক গানগুলিতে তিনি তাঁর শক্তিশালী কণ্ঠস্বর এবং আবেগময় গায়কী-র মাধ্যমে শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন। বালামের গানের জাদু হলো তাঁর কণ্ঠে থাকা জোরালো আবেগ এবং রকের তীব্রতা, যা রোমান্টিক ব্যালাড বা দ্রুত লয়ের গানেও শ্রোতাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়। তাঁর কণ্ঠের সুর ছিল সেই সময়ের যুবকদের কাছে তীব্র এবং পরিচিত। তাঁর জনপ্রিয়তা দীর্ঘদিনের সঙ্গীত সাধনা এবং একটি স্বতন্ত্র ভোকাল স্টাইলের উপর প্রতিষ্ঠিত, যা তাঁকে এক বিশেষ স্থানে বসিয়েছে।
অন্যদিকে, প্রীতম হাসান বর্তমান সময়ের সঙ্গীত জগতে এক গতিশীল এবং বহুমাত্রিক শিল্পী। তিনি কেবল গান গেয়েই নন, একজন সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও বিপুল জনপ্রিয়। তাঁর কণ্ঠের সুর আধুনিক, প্রাণবন্ত এবং পরীক্ষামূলক, যা পপ, ইলেকট্রো-ফোক এবং ফিউশনের সংমিশ্রণ ঘটায়। ‘লোকাল বাস’, ‘বেয়াইন সাব’-এর মতো গানগুলি তাঁকে অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের আইকনে পরিণত করেছে। প্রীতমের জনপ্রিয়তা তাঁর ট্রেন্ডি মিউজিক ভিডিও, ফিউশনের দক্ষতা এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে সমসাময়িক চেতনা তুলে ধরার ক্ষমতার ওপর নির্ভরশীল। তিনি সঙ্গীতের ধারাকে নতুন পথে চালিত করছেন।
তুলনা করলে দেখা যায়, বালামের সুর এবং জাদু যেখানে ২০০০-এর দশকের রক-পপ ঘরানার আবেগময় ভিত্তিকে ধরে রেখেছে, প্রীতম হাসান সেখানে আধুনিকতা ও ফিউশনের মাধ্যমে সঙ্গীতকে নতুন পথে চালিত করছেন। দু’জনেই তাঁদের নিজস্ব ঘরানার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গীতকে দিয়েছেন নতুন মাত্রা। janas media