
ফারাহ নাজ ও উর্মিলা মাতন্ডকার: দুই দশকের জনপ্রিয় মুখ
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফারাহ নাজ এবং উর্মিলা মাতন্ডকার আশি ও নব্বইয়ের দশকের চলচ্চিত্র জগতে তাঁদের স্বতন্ত্র অভিনয় দক্ষতা ও ক্যারিশমার জন্য পরিচিত। তাঁদের কর্মজীবনের শুরু এবং জনপ্রিয়তার ধরণ ছিল ভিন্ন, কিন্তু দু’জনেই নিজেদের কাজের মাধ্যমে দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছিলেন।
ফারাহ নাজ আশির দশকের শেষের দিকে বলিউডে আসেন এবং তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা ও প্রাণবন্ত অভিব্যক্তির জন্য দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তাঁর অভিনয় ছিল সেই সময়ের বাণিজ্যিক ছবির সরলতা এবং আবেগ প্রকাশের প্রতীক। তাঁর চোখ এবং হাসি ছিল অত্যন্ত এক্সপ্রেসিভ। তিনি সানি দেওল বা গোবিন্দের মতো অভিনেতাদের সঙ্গে বহু হিট ছবি উপহার দেন। ফারাহর জনপ্রিয়তা ছিল মূলত গণমানুষের মধ্যে, যাঁরা তাঁর সহজ-সরল চরিত্রায়ণ এবং সহজাত ভঙ্গিমায় মুগ্ধ হতেন। যদিও তাঁর কর্মজীবনের সময়কাল ছিল অপেক্ষাকৃত সংক্ষিপ্ত, তবুও তিনি স্বল্প সময়েই তাঁর অভিনয় দক্ষতা প্রমাণ করেছিলেন এবং আশির দশকের রোমান্টিক অ্যাকশন ছবির এক পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন।
অন্যদিকে, উর্মিলা মাতন্ডকার নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রাম গোপাল ভার্মার ‘রঙ্গিলা’ (Rangeela)-র মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে এক শক্তিশালী প্রত্যাবর্তন করেন। তিনি শুধু তাঁর অসাধারণ গ্ল্যামার দিয়েই নয়, বরং অভিনয়ের তীব্রতা এবং ভার্সেটিলিটি দিয়ে দর্শকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। ‘সত্য’, ‘এক হাসিনা থি’ বা ‘কৌন’-এর মতো ছবিতে তিনি মানসিক দ্বন্দ্বে ভোগা বা রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করে তাঁর অভিনয় দক্ষতার বহুমাত্রিকতা প্রমাণ করেন। উর্মিলা তাঁর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন গ্ল্যামার এবং একই সঙ্গে জটিল, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে ভয়হীন অভিনয়ের মাধ্যমে, যা তাঁকে সেই সময়ের অভিনেত্রীদের মধ্যে বিশেষ স্থান করে দেয়। তিনি প্রচলিত নায়িকার ধারণা ভেঙে এক নতুন ধারার সূচনা করেছিলেন।
তুলনা করলে দেখা যায়, ফারাহ নাজ যেখানে আশির দশকের সহজাত এবং সহজ-সরল আবেদনের প্রতীক ছিলেন, উর্মিলা সেখানে নব্বইয়ের দশকের গ্ল্যামার, বুদ্ধি এবং মনস্তাত্ত্বিক গভীরতার মিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। দু’জনেই তাঁদের নিজস্ব পথে হেঁটে বলিউডকে সমৃদ্ধ করেছেন এবং দর্শকদের জন্য রেখে গেছেন স্মরণীয় কিছু কাজ। janas media