
নানা আয়োজনে বান্দরবানে ৩৫ তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালিত
মোহাম্মদ আকাশ বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি
একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো,আজ আমি স্বপ্ন গড়বো,স্বযত্নে তোমায় রাখবো আগলে’ প্রতিপাদ্যে নানাআয়োজনের মধ্য দিয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের উদ্যোগে ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উদযাপন করা হয়।
০৭অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী অনুষ্ঠিত হয়। র্যালীটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা ও ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও অনুদানের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো:আবু তালেব এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মিল্টন মহুরি,সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সত্যজিৎ মজুমদার, সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী। আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে ফ্রি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন ডা:ওয়াহিদ হাসান,জুনিয়রকনসালট্যান্ট মেডিসিন,বান্দরবান সদর হাসপাতাল। ডা: সুজন কুমার ধর,জুনিয়র কনসালট্যান্ট কার্ডিলজি, বান্দরবান সদর হাসপাতাল।
এছাড়াও বান্দরবান অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান দিলীপ কান্তি দাশ, সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম,সাধারণ সম্পাদক আবদুল কায়েছ,প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সভাপতি অংচ মং মারমা,প্রবীণ হিতৈষী সংঘের সেক্রেটারি সুগত বড়ুয়া,বিশ্বনাথ’সহ শতাধিক প্রবীণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রবীণদের জন্য বান্দরবান সাঙ্গু নদীর পাড়ে ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ওয়াক ওয়ে নির্মান ও চেয়ার নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে, প্রবীণদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে যে কোন সেবা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রবীণরা সমাজের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের ভান্ডার। অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা ও মূল্যবোধের ধারক। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও যত্ন প্রদর্শনের মধ্য দিয়েই আমরা মানবিক সমাজ গঠন করতে পারি। তাঁদের সম্মান ও যত্ন নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার প্রবীণবান্ধব সমাজ গড়ে তুলতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রবীণ ভাতা, হেলথ কার্ড ও প্রবীণ সেবা কেন্দ্র স্থাপন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে প্রবীণবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে এগিয়ে আসতে হবে।