
রজনীকান্ত ও প্রসেনজিৎ: দুই ইন্ডাস্ট্রির ভরসা ও মহানায়ক
ভারতীয় আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের ইতিহাসে রজনীকান্ত এবং প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী দু’জনেই তাঁদের নিজস্ব অভিনয় দক্ষতা ও ক্যারিশমা দিয়ে দুটি ভিন্ন রাজ্যের সিনেমার অবিচ্ছেদ্য স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। একজন তামিল সিনেমার ‘থালাইভার’, অন্যজন কলকাতার টলিউডের ‘ইন্ডাস্ট্রি’—দু’জনেই নিজেদের রাজ্যের দর্শকদের কাছে সুপারহিরো এবং চূড়ান্ত ভরসা।
তামিল সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত তাঁর অনন্য স্টাইল, অদম্য প্রাণশক্তি এবং মেগাস্টার ইমেজ-এর জন্য বিশ্বজুড়ে পূজিত। তাঁর অভিনয় দক্ষতা শুধুমাত্র চরিত্রের মধ্যে আবদ্ধ নয়, বরং তাঁর ম্যানারিজম, সংলাপ এবং অনায়াস গ্ল্যামারের মধ্যে নিহিত। তাঁর জনপ্রিয়তা ধর্মীয় ভক্তির পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি এমন এক অভিনেতা, যিনি এককভাবে যেকোনো চলচ্চিত্রের বক্স অফিস ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন। রজনীকান্ত তামিল ইন্ডাস্ট্রির ভরসা—কারণ তাঁর উপস্থিতিই নিশ্চিত করে যে ছবিটি দর্শকদের কাছে পৌঁছাবে, তিনি একাই লক্ষ লক্ষ ভক্তদের সিনেমা হলে টেনে আনেন, যা তাঁকে সুপারহিরোর মর্যাদা দেয়।
অন্যদিকে, কলকাতার বাংলা সিনেমার মহানায়ক প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী তাঁর ভার্সেটিলিটি এবং দীর্ঘস্থায়ী ডোমেনেন্সের জন্য পরিচিত। তাঁর অভিনয় দক্ষতা হলো নিজেকে বারবার নতুন করে আবিষ্কার করা—বাণিজ্যিক হিট থেকে শুরু করে শৈল্পিক ছবি (‘অটোগ্রাফ’, ‘দোসর’) পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই তাঁর সাবলীলতা বজায় ছিল। প্রসেনজিৎ শুধুমাত্র তারকা নন, তিনি টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ভরসা—বিশেষত যখন ইন্ডাস্ট্রি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে। দশকের পর দশক ধরে তাঁর অভিনয়, তাঁর প্রতি দর্শকদের আস্থা এবং শিল্পের প্রতি তাঁর নিবেদন তাঁকে এই ‘ভরসা’র আসনে বসিয়েছে।
পর্দায় রজনীকান্তের ভরসা যেখানে তাঁর স্টাইল ও ম্যাজিক থেকে আসে, প্রসেনজিতের ভরসা সেখানে তাঁর অ্যাডাপ্টেবিলিটি ও অভিনয় নিষ্ঠা থেকে গড়ে উঠেছে। দু’জনেই নিজেদের ইন্ডাস্ট্রির শিরদাঁড়া এবং দর্শকদের কাছে চিরন্তন সুপারহিরো সংগ্রহীত