
রুনা লায়লা ও কনকচাঁপা: সুরের দুই মহারথী
বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতে রুনা লায়লা এবং কনকচাঁপা দু’জনেই তাঁদের স্বতন্ত্র কণ্ঠের মাধুর্য এবং গানের জাদুর মাধ্যমে বহু প্রজন্মকে মুগ্ধ করেছেন। তাঁদের এই ভিন্নমুখী জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের সঙ্গীতের ভান্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ।
রুনা লায়লা কেবল বাংলাদেশের নন, তিনি উপমহাদেশের একজন আন্তর্জাতিক কিংবদন্তী। তাঁর শক্তিশালী, বহুমুখী এবং প্রাণবন্ত কণ্ঠস্বর তাঁকে ১৮টিরও বেশি ভাষায় গান গাওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। তাঁর জনপ্রিয়তা তাঁর অসাধারণ গায়কী, উচ্চ রেঞ্জ এবং যেকোনো ঘরানাকে (পপ, গজ়ল, লোকসংগীত) আয়ত্তে আনার দক্ষতার ওপর নির্ভরশীল। তাঁর গানগুলিতে যে প্রাণময়তা এবং শক্তি থাকে, তা অন্য কারও পক্ষে অনুকরণ করা কঠিন। রুনা লায়লা তাঁর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছে শক্তি এবং বৈচিত্র্যের এক মূর্ত প্রতীক।
অন্যদিকে, কনকচাঁপা নব্বইয়ের দশক থেকে ঢালিউড প্লে-ব্যাকে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছেন। তাঁর কণ্ঠের সুর অত্যন্ত মিষ্টি, নরম এবং রোমান্টিক। তাঁর গানের জনপ্রিয়তা এসেছে শত শত বাণিজ্যিক সফল চলচ্চিত্রের গানের মাধ্যমে, যেখানে তিনি মূলত কেন্দ্রীয় নারী চরিত্রের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছিলেন। কনকচাঁপার গানের জাদু হলো তাঁর কণ্ঠে থাকা সহজাত মাধুর্য এবং সুরেলা আবেদন, যা রোমান্টিক এবং হৃদয়স্পর্শী গানগুলোকে অমর করে তুলেছে। তাঁর কণ্ঠের এই স্নিগ্ধতা তাঁকে দেশের প্লে-ব্যাক কুইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে।
তুলনা করলে দেখা যায়, রুনা লায়লা যেখানে আন্তর্জাতিক তারকা এবং বহুমুখী শক্তির প্রতীক, কনকচাঁপা সেখানে দেশীয় প্লে-ব্যাক সঙ্গীতের মেলোডি ও মাধুর্যের প্রতিচ্ছবি। এই দুই মহীয়সী শিল্পীর অবদান বাংলাদেশের সঙ্গীত ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। janas media