
কেয়া ও তমালিকা কর্মকার: ঢালিউডের দুই ভিন্ন ধারা
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও অভিনয় জগতে কেয়া এবং তমালিকা কর্মকার দু’জনেই পরিচিত নাম, কিন্তু তাঁদের জনপ্রিয়তার পথ এবং অভিনয় দক্ষতার ভিত্তি ছিল ভিন্ন। তাঁরা দু’জনই প্রমাণ করেছেন যে ঢালিউডে সফলতা অর্জনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পথ রয়েছে।
তমালিকা কর্মকার মূলত থিয়েটার এবং টেলিভিশন থেকে এসেছেন, যা তাঁর অভিনয় দক্ষতার ভিত্তি দৃঢ় করেছে। তিনি বাণিজ্যিক গ্ল্যামারের দিকে না ঝুঁকে চরিত্রের গভীরতা ও বাস্তবতার প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছেন। ‘কীর্তনখোলা’-র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে এবং তিনি জাতীয় পুরস্কারও লাভ করেছেন। তমালিকার মূল শক্তি হলো ভার্সেটিলিটি এবং যেকোনো জটিল চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। তাঁর জনপ্রিয়তা অভিনয় দক্ষতার গুণগত মান, শৈল্পিক নিষ্ঠা এবং চ্যালেঞ্জিং চরিত্র নির্বাচনের উপর নির্ভরশীল, যা তাঁকে শিল্পের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দর্শকদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় করে তুলেছে। তিনি অভিনয়কে নিছক বিনোদনের চেয়ে শিল্পের মাধ্যম হিসেবে দেখেছেন।
অন্যদিকে, কেয়া ২০০০-এর দশকের প্রথম দিকে দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এবং তিনি ছিলেন মূলত বাণিজ্যিক গ্ল্যামার এবং স্টারডমের প্রতীক। তিনি সেই সময়ের জনপ্রিয় নায়কদের সাথে জুটি বেঁধে প্রচুর হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। তাঁর আকর্ষণীয় চেহারা এবং বাণিজ্যিক ছবির চাহিদামতো অভিনয় তাঁকে গণমানুষের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা এনে দেয়। কেয়ার সাফল্য ছিল বক্স অফিসকেন্দ্রিক, এবং তিনি তাঁর সময়ে ঢালিউডের গ্ল্যামার কুইনদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। তাঁর অভিনয় দক্ষতা সেই সময়ের অ্যাকশন ও রোমান্টিক ছবির বাণিজ্যিক চাহিদা পূরণে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
তুলনা করলে দেখা যায়, তমালিকা কর্মকার যেখানে বাস্তববাদী অভিনয় ও শিল্পের গভীরতার দিকে ঝুঁকেছেন, কেয়া সেখানে মূলধারার বাণিজ্যিক সফলতা ও গ্ল্যামারাস আবেদনের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। দু’জনেই নিজেদের স্বতন্ত্র পথে হেঁটে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছেন। janas media